ফের বৈঠকে বসতে পারে রাশিয়া–ইউক্রেন : বেলারুশে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বৈঠকে বসেছে দুই দেশ। রাশিয়া আর ইউক্রেন। কিন্তু বরফ গলেনি। হামলা থামিয়ে সেনা প্রত্যাহার করেনি রাশিয়া। খবর, ফের বৈঠকে বসতে পারে দুই দেশ। উদ্দেশ্য, রফাসূত্র বের করা। আর এই বৈঠক যখন চলছিল, তখন রুশ হামলায় খারকিভে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন সাধারণ মানুষ।
কূটনীতিতে যুদ্ধ আর শান্তি আলোচনা একসঙ্গে হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রে তাই হল। ইউক্রেনে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ফেলে যাচ্ছে রাশিয়া। এদিকে বেলারুশে তখন রফা খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে দুই দেশের প্রতিনিধিরা। এই বৈঠক চলাকালীনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি আরও মরিয়া হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সদস্যপদ চেয়ে বসেন। এজন্য চিঠিও লেখেন। তার প্রভাব বৈঠকে কতটা পড়েছে, জানা যায়নি।
তবে কম যাননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। তিনি আবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁকে শর্ত দিয়েছেন, ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে অর্থাৎ আর তাকে অস্ত্র জোগান দিতে পারবে পশ্চিমের দেশগুলো। আর ক্রিমিয়া উপকবলে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে হবে তাদের। তবেই ইউক্রেনে হামলা থামাবে তারা।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের দপ্তরের উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলিয়াক জানিয়েছেন, দ্বিতীয় বার আলোচনায় বসা নিয়ে কথা হয়েছে বৈঠকে। সেটা এক প্রকার নিশ্চিত। এবার হয়তো বেলারুশের বদলে পোল্যান্ড সীমান্তে আলোচনা হতে পারে। তবে কোথায়, কবে তা এখনও জানা যায়নি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে রুশ হামলায় ইউক্রেনে ১০২ জন সাধারণ নাগরিক মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে সাতটি শিশুও। হাজার হাজার মানুষ দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। এর মধ্যে পোল্যান্ড আশ্রয় নিয়েছেন চার লক্ষ জন। বাকিরা হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, মলডোভায় আশ্রয় নিয়েছেন। পোপ ফ্রান্সিস ইউক্রেনবাসীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আশপাশের দেশগুলোকে সীমান্ত খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
রুশ হামলার নিন্দায় সরব গোটা দুনিয়া। খোদ রাশিয়াতেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আটক পাঁচ হাজার জন। ফেসবুকের পর গুগলও জানিয়ে দিয়েছে, তাদের প্লাটফর্ম থেকে টাকা রোজগার করতে পারবে না কোনও রুশ সংস্থা। ইউক্রেনে নেট পরিষেবা ব্যহত করার চেষ্টা করছে রাশিয়া। সেই পরিষেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছেন এলন মাস্ক।