
বরিশালে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক রোগীর মৃত্যু : বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) এর করোনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘন্টার রেকর্ডে ১৯ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ৩০৭ জন রোগী এখনও চিকিত্সাধীন রয়েছেন। মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবটিতে, সমস্ত নমুনা পরীক্ষায় সনাক্তকরণের হার ৬৪.৩৬ শতাংশ।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টা সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রেকর্ড সংখ্যক ১৯ জন রোগী মারা গেছেন। সকাল পর্যন্ত রোগীদের সর্বাধিক সংখ্যা ৩০৭ জন ছিল।
আগের ২৪ ঘন্টা, ৮ জন রোগী করোনার ওয়ার্ডে মারা গিয়েছিল। গত রবিবার ২৯৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টা মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ১২ জন বরিশাল জেলা ও মহানগরীর, ঝালকাটি থেকে ৪ জন, বরগুনার ১ জন, পিরোজপুরের ১ জন এবং মাদারীপুরের একজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের করোনার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে।
রবিবার রাতে মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ১৮৮ জন এর নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ পাওয়া যায় ১২১ জনের। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনার সনাক্তকরণের হার ৬৪.৩৬ শতাংশ। আগের দিনের সনাক্তকরণের হার ছিল ৬২.২৩ শতাংশ।
এর আগের সোমবার, পিসিআর ল্যাবটিতে সর্বাধিক ৭৩.৯৪ শতাংশ করোনার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।
মেডিকেলের করোনার ওয়ার্ডে 22 টি আইসিইউ বেড রয়েছে। ৬৯ টি হাই ফ্লো ন্যাসল ক্যানোলা রয়েছে। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন বিছানা রয়েছে ১০৩ টি । এখানে ৪৭০ অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে।
বিছানার চেয়ে আরও বেশি রোগী থাকায়, মুমূর্ষ রোগীদের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলে তারা তাত্ক্ষণিকভাবে উচ্চ প্রবাহ অনুনাসিক ক্যানোলা বা কেন্দ্রীয় অক্সিজেন পেতে সক্ষম হবেন না। ২২ টি আইসিইউ বেডে দ্বিগুণ রোগী আইসিইউ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।
হাসপাতালের পরিচালক মো: এইচ এম সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে, একদিনে ১৯ জন রোগী মারা গিয়েছে এবং সর্বোচ্চ ৩০৭ জন রোগী করোনার ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।