বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দলীয় রান তুলে আগের রূপে ভারত : বাজেভাবে প্রথম দুই ম্যাচে হারটি কোনোভাবেই মানতে পারেনি ভারত। তৃতীয় ম্যাচে পুরো দল একসঙ্গে জ্বলে উঠল। আফগানিস্তানকে তুলোধুনো করলো ব্যাটিংয়ে নেমে। চলতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দলীয় রান তুলে চেনা রূপে ফিরল ভারত।
টস হেরে আবু ধাবিতে ব্যাটিং করতে নেমে ২ উইকেটে ২১০ রান তুলেছে ভারত। বিশ্বকাপে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় রান। এর আগে আফগানিস্তান স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯০ রান করেছিল। পাকিস্তান গতকাল নামিবিয়ার বিপক্ষে করেছিল ১৮৯ রান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুবরাজ সিংয়ের ঐতিহাসিক ছয় ছক্কার ম্যাচে ২১৮ রান তুলেছিল মাহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
তবে ভারতের স্কোর যে এতোটাও বড় হবে শুরু থেকে বোঝা যাচ্ছিল না। তবে উইকেট হাতে রেখে পরে আক্রমণে যাবে তা দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং দেখে বোঝা যাচ্ছিল। পাওয়ার প্লে’তে তাদের দলীয় রান ৫৩। ইনিংসের অর্ধেকতম ওভারে স্কোর বিনা উইকেটে ৮৫।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা এরপরই ঝড় তোলা শুরু করেন । শুরুটা হয়েছিল রোহিত শর্মাকে দিয়ে। পরে যোগ দেন রাহুলও। তাদের জুটি ভাঙে ১৪০ রানে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা ভারতীদের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
রোহিত ৪৭ বলে ৭৪ রান করে ফেরার পর রাহুল তার পথ অনুসরণ করেন। ৪৮ বলে ৬৯ রান করেন তিনি। রোহিত ৮ চার ও ৩ ছক্কা হাঁকান। রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ২ ছক্কা।
ইন্ডিয়ার হয়ে শেষটা রাঙান রিশাভ পান্ত ও হার্দিক পান্ডিয়া। কোহলিকে টপকে দুজনই নেমেছিলেন ব্যাটিংয়ে। দলের সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণ করেন তারা। মাত্র ২১ বলে ৬৩ রান তুলে লণ্ডভন্ড করে দেন আফগানদের বোলিং আক্রমণ। ১৩ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় পান্ত ২৭ এবং পান্ডিয়া ১৩ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রান তোলেন। শেষ ৪ ওভারে ভারত পায় ৬৫ রান। তাতে তাদের রানটা চলে যায় চূড়ায়।
আফগানিস্তানের ভরসার নাম রশিদ খান। এদিন আলো ছড়াতে পারেননি। ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। বিশ্বকাপে এটি তার সবচেয়ে বাজে বোলিং।