
স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ : স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে এক গৃহবধূ নরসিংদীর পলাশে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের পাশে স্বামীকে আটকে রেখে মারধর করে গৃহবধূকে নির্যাতন করা হয়। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। ধর্ষণে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক শিশুকে ধর্ষণ এবং রাজধানী ঢাকার ডেমরায় এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
পলাশে আটক ব্যক্তিরা হলেন ঘোড়াশাল পৌর এলাকার টেঙ্গরপাড়া গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে রাজিব মিয়া (২৮) ও পৌর এলাকার চামড়াব গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে রিফাত মিয়া (২৪)।
ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) জহিরুল ইসলাম জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় ঘোড়াশাল রেলস্টেশন এলাকায় স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে আসেন ওই গৃহবধূ। এ সময় তাঁরা ঝালমুড়ি খেতে খেতে রেলপথ ধরে হাঁটছিলেন। তখন রাজিব, রিফাতসহ তিন বখাটে ওই দম্পতিকে পথ রোধ করে তাঁদের পরিচয় জানতে চায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ঘোড়াশাল রেলস্টেশন থেকে টান ঘোড়াশাল স্টেশনের মধ্যখানে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে স্বামীকে আটকে মারধর করে গৃহবধূকে নির্যাতন করে তিনজন। এক পর্যায়ে বখাটেদের কাছ থেকে কৌশলে ছুটে ৯৯৯ নম্বরে কল দেন স্বামী।
পরিদর্শক জহিরুল আরো জানান, গৃহবধূকে নির্যাতন শেষে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি রিকশায় তুলে দিয়ে পাঁচদোনার দিকে চলে যেতে বলেন অভিযুক্তরা। পুলিশ গৃহবধূকে পাঁচদোনা থেকে উদ্ধারের পর তাঁর কাছ থেকে ঘটনা শুনে রাতেই অভিযান চালিয়ে রাজিব ও রিফাতকে আটক করে। তবে এ ঘটনায় জড়িত আরেকজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
রেলপথে ঘটনা ঘটায় গতকাল রবিবার সকালে ভুক্তভোগী ও আটক দুজনকে রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে গত শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত মো. সাকেলের (২২) বাড়ি ফতেপুরের ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায়। ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি (৬) তাদের বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। এ সময় বাড়ির লোকজনের অগোচরে সাকেল শিশুটিকে মজা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে একটি ঘরে শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্যাতন করেন। শিশুটি চিৎকার দিলে সাকেল সটকে পড়েন।
এ ঘটনায় গতকাল শিশুটির বাবা সাকেলের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা জানান, আসামি সাকেলকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
ডেমরায় গত সোমবার (৩১ জানুয়ারি) শিশু শিক্ষার্থীকে (৮) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শনিবার রাতে ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা করেন। আসামি মো. শাহ আলমকে (৪০) শনিবার রাতেই পুলিশ ডেমরার বক্সনগর থেকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।
শাহ আলম বক্সনগরে একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া ও যাত্রাবাড়ী থানার কলাপট্টি এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।
মামলা সূত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডেমরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজনীন আক্তার বলেন, ভুক্তভোগী শিশুটি শাহ আলমের মেয়ের সঙ্গে খেলতে তাদের বাসায় যেত। গত সোমবার সে খেলতে গেলে শাহ আলম তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেন শাহ আলম। শনিবার দুপুরে শিশুটি তার মা-বাবার কাছে সব খুলে বলে।